করোনা পরবর্তী জটিলতায় খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি আক্রান্ত

0 ২৬৬
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

করোনা পরবর্তী জটিলতার অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, রুহুল আমিন গাজী এবং নিপুন রায় চৌধুরী’সহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের কাছ থেকে আমরা তাঁর অবস্থার বিষয়ে যেটা পেয়েছি, তাঁর অক্সিজেন সিচুয়েশন এখন বেশ ভালো, জ্বর এখন নেই এবং তাঁর শ্বাসকষ্টও এখন নেই। কিন্তু যেটা একটু উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়, তাঁর করোনা পরবর্তী যে জটিলতা, সেই জটিলতায় তাঁর হার্ট ও কিডনি একটু আক্রান্ত। এটা নিয়ে তাঁরা (চিকিৎসকেরা) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।’

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছেন, এটাকে তাঁরা কীভাবে নিরাময় করবেন। তবে আমরা আশাবাদী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন।

 

গতকাল রাতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উনাকে দেখে একটু ভালো লেগেছে, কারণ আমি তাঁর মুখে একটু হাসি দেখেছি। যেটা এই কয়েকদিন ছিল না। একেবারেই ছিল না। তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে, করোনা সংক্রান্ত অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয়। আর শ্বাসকষ্ট যখন বেশি দেখা দেয়, তখন তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।’

 

চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমি অত্যন্ত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমাদের চিকিৎসকদের। যাঁরা সম্পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে তাঁর চিকিৎসা করছেন। প্রতিদিন তাঁর মেডিকেল বোর্ড করছেন এবং প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করে তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁরা আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সবার আগ্রহ রয়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, ম্যাডাম সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। কারণ আমরা সব সময় দোয়া করেছি এবং সারা দেশের মানুষও দোয়া করেছে।’

 

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.